পাহাড়ে জিটিএ ভোট। বার বার এই ভোটে আপত্তি জানিয়েছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। এমনকী অনশনেও বসেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিটিএ ভোট আটকাতে পারেননি তিনি। রবিবার মোটামুটি নির্বিঘ্নেই হচ্ছে জিটিএ ভোট। কার্যত বহুমুখী লড়াই এবার জিটিএ ভোটে। বিমল গুরুং এদিন ভোট দেননি। তবে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তিনি। তবে এদিন ভোট দিয়েছেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতা অনিত থাপা।
ভোট দিয়ে বেরিয়ে অনিত থাপা জানিয়ে দেন, উন্নয়ন হওয়া দরকার। আন্দোলনের নামে বার বার পাহাড়ের মানুষকে বিপথে চালিত করা হয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম পড়াশোনা করার পরেও চাকরি পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা ঠিক নেই। সুকনার ওদিকে সব সিস্টেমে চলছে। আর সুকনা পেরোলেই সব সিস্টেম ওলটপালট! সরকার এই ব্যবস্থাটা না বুঝলে সমস্য়াটা থেকেই যাবে।
অনীত থাপা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়নের পক্ষেই মানুষ ভোট দেবেন। ওই রাজ্যেই রয়েছি। আর এই রাজ্যের সঙ্গে ঝগড়া করে কী হবে? কোনও নেতার এত দম নেই যে রাজ্যের সঙ্গে ঝগড়া করে এলাকার উন্নয়ন করবেন? অজয়ও স্টেটের বিরোধ করছেন। বিমলও স্টেটের বিরোধ করছেন। তাদের ভোট দিলে তো ভোট নষ্ট হয়ে যাবে। কার্যত ভোটের দিনেও এভাবেই বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডকে নিশানা করলেন অনীত থাপা।