মণিপুরে আচমকা ধস পড়ে শহিদ জওয়ানের দেহ মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শহিদ জওয়ানের গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। গ্রামের ছেলেকে শেষ বার দেখার জন্য জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। গ্রামবাসীরাই মিছিল করে শহিদ জওয়ানের দেহ নিয়ে আসে সৎকারের জন্য। শহিদ জওয়ানের শেষকৃত্য যাতে যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের তরফেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত ২৯ জুলাই মণিপুরে ডিউটিরত অবস্থায় শেষবার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন জওয়ান প্রীতম দত্ত। এরপরই আচমকাই ধসের কবলে পড়ে সে। চারদিন পর শহিদ জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। গত রবিবার প্রীতমের মৃত্যুর খবর তাঁর বাড়িতে জানানো হয়। খবর পেয়ে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন প্রীতমের পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকালে খড়গ্রামের বালিয়া গ্রামে প্রীতমের কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রীতমের মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। গোটা গ্রামের মানুষ প্রীতমের বাড়ির চারপাশে জড়ো হয়ে যায়। ‘প্রীতম দত্ত অমর রহে’, ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনিতে মুখরিত হতে থাকে চারদিক। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরাও মিছিল করে প্রীতমের কফিনবন্দি দেহকে নিয়ে যায় শেষ কৃত্য সম্পন্নের জন্য।
জানা যায়, গ্রামের ছেলে প্রীতম সকলেরই খুব পরিচিত মুখ ছিল। প্রীতমের চেনা জানা আত্মীয় পরিজনরা জানান, গত চার বছর আগে সেনাবাহিনির চাকরিতে যোগ দিয়েছিল প্রীতম। দৌড়ে অত্যন্ত দক্ষ ছিল প্রীতম। একসময়ে হরিণের সঙ্গে দৌড়ে জয়ী হয়েছিলেন প্রীতম। বালিয়া পঞ্চায়েতের তরফেও জওয়ানের অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করা হয়। বালিয়া পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বীর সৈনিকের এভাবে অকাল প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। শহিদ জওয়ানের শেষকৃত্য যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, পঞ্চায়েতের তরফে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা শহিদ জওয়ানের পরিবারের পাশে আছি।’