রবিবার রাতে আসানসোল এবং মালদহে দুই বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। আসানসোলের ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পান বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তবে সেই সুযোগ হয়নি মালদহের বিজেপি নেতা সাদেক আলির। হাতে গুলি লেগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি আছেন তিনি।
দলের কাজ সেরে রবিবার রাতে কলকাতা থেকে আসানসোলের বাড়িতে ফিরছিলেন কৃষ্ণেন্দু। ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ হিরাপুর থানার বার্নপুর রোডে ডলি লজের কাছে বাড়িতে ঢোকার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় একদল দুষ্কৃতী। সিসিটিভিতে গুলি চালানোর দৃশ্যও ধরা পড়েছে। তারপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। কৃষ্ণেন্দুর গাড়িতেও গুলি লাগে। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ভাগ্যক্রমে রক্ষা পান বিজেপি নেতা।
ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। কৃষ্ণেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূলের কাজ এটা। তিনি থাকলে এলাকায় সন্ত্রাস চালানো যাচ্ছে না বলেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, কৃষ্ণেন্দুর উপর হামলার আশঙ্কাই ছিল। সমাজবিরোধীদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও দুষ্কতীকে প্রশ্রয় দেয় না তৃণমূল। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেও গুলি চালানো হতে পারে।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হীরাপুর থানা। ঘটনায় আপাতত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। কারা জড়িত আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে গুলি চলেছে কিনা, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। একইসঙ্গে ব্যবসায়িক শত্রুতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় মালদহের পুখুরিয়ার শ্রীপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সাদেক আলির উপর হামলা চালানো হয়। বিজেপির দাবি, বাড়ি ফেরার সময় সাদেকের গাড়ি ঘিরে ধরা হয়। গাড়ি থামিয়ে গুলি চালানো হয়। সাদেকের বাঁ-হাতে গুলি লেগেছে। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তাঁর দলবলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে আজ (সোমবার) থেকেই বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুখুরিয়া থানা।