একেই বলে মেঘ না চাইতেই জল। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার নাংলা গ্রামের বাসিন্দা সুদীপ্ত হাজরা। আচমকা অ্যাকাউন্ট দেখে কার্যত ভিড়মি খাওয়ার অবস্থা তাঁর। একেবারে ৩ হাজার কোটি টাকা এসে যায় তাঁর অ্যাকাউন্টে। আর এই টাকার অঙ্ক দেখে রাতের ঘুম উড়ে যায় ওই যুবকের। তাঁর অ্যাকাউন্টে আগে ছিল মাত্র ৯ হাজার টাকা। কিন্তু কীভাবে এত টাকা এল তাঁর অ্যাকাউন্টে?
নেহাতই কৃষিজীবী পরিবার। চাষ আবাদ করেই সংসার চলে সুদীপ্তর। মাসিক কিস্তি দেওয়ার জন্য তিনি ব্যাঙ্কে মিনি স্টেটমেন্ট তুলতে গিয়েছিলেন। আর সেই মিনি স্টেটমেন্ট দেখে চোখ কপালে ওঠে তাঁর। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তিনি ১ হাজার টাকাও তুলতে পারছেন না।
তবে বিষয়টি আর চাপা থাকেনি। পাড়া প্রতিবেশীদেরও ঢল নেমে যায় তাঁর বাড়িতে। তবে কি ভুল করে কোনও জায়গা থেকে টাকা এসে গিয়েছে? হাবড়া থানার পুলিশের কাছেও এব্য়াপারে খবর গিয়েছে। তাঁরাও এনিয়ে তদন্ত করা শুরু করেছেন। টিনের চালার একচিলতে বাড়িতে থাকেন তিনি।
তাঁর এক আত্মীয়া বলেন, আগে সুদীপ্ত বাইরে কাজ করত। বর্তমানে কৃষি কাজ করে। গাড়ির কিস্তির টাকা মেটানোর জন্য টাকা তুলতে গিয়েই দেখে এত টাকা অ্যাকাউন্টে। পুলিশকেও জানিয়েছে সে। পাড়া প্রতিবেশীরা বলছেন ভগবানই মুখ তুলে চেয়েছেন। তিনিই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তবে সুদীপ্ত জানিয়েছেন, অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা এসে গিয়েছে। সরকার টাকা নিয়ে নিক। তবে আমায় কিছু দিক।