তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে দলের মহিলা কর্মীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রভাবশালী নেতা হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল।
হলদিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী গোষ্ঠীর এই নেতাকে শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। আর তাতেই অপর গোষ্ঠী চটে গিয়ে এই ষড়যন্ত্র করেছে বলে দেবপ্রসাদ মণ্ডলের দাবি। কিন্তু এই নিয়ে এখন গোটা হলদিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রাজারহাটের দশদ্রোণে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে জুতোপেটা করেছিলেন স্থানীয় মহিলারা। তারপর আবার এক তৃণমূল নেতার নামে একই অভিযোগ ওঠায় সরগরম বন্দর শহর।
ঠিক কী অভিযোগ? জানা গিয়েছে, হলদিয়ার তৃণমূল নেতার দেবপ্রসাদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অশ্লীল ইঙ্গিত এবং কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের মহিলা কর্মী চান্দ্রেয়ী বিশ্বাস। এই চান্দ্রেয়ী বিশ্বাস ২০১২ সালে হলদিয়া পুরসভা নির্বাচনে তৃণমুলের টিকিটে প্রার্থীও হয়েছিলেন। সেই নেত্রী দলেরই নেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁকে লাগাতার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ও ভিডিও কল যে দেবপ্রসাদ মণ্ডল করতেন তার স্ক্রিনশট-সহ হলদিয়া থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান চান্দ্রেয়ী দেবী।
এই বিষয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল দেবপ্রসাদ মণ্ডলের সঙ্গে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটালকে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমাকে হলদিয়া টাউনশিপের সহ–সভাপতি করা হয়েছে। আমি আজ তৃণমূল করছি না। আমিও মাঠে ময়দানে নেমে খেটে এই জায়গা তৈরি করেছি। এটা অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। তাই রাজনৈতিক অভিসন্ধি করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করছে। আগে অনেক চেষ্টা করে আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখনও পারেনি। এবারও পারল না দেখে সরাসরি আমার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে চরিত্রহননের পথকেই বেছে নেওয়া হল।’ বিজেপি অবশ্য গোটা বিষয়টি গ্যালারিতে বসে আপাতত উপভোগ করছে।
তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এই অভিসন্ধির পেছনে কার হাত আছে বলে আপনি মনে করেন? উত্তরে দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘ওটা আপনিও ভালও জানেন। আমি কারও নাম নিতে চাই না। শুধু বলতে চাই ২০১২ সাল থেকে তিনি আমাকে চেনেন। আজ হঠাৎ এই অভিযোগ করলেন কেন? আগেও তো করতে পারতেন? যদি সত্যিই আমি দোষী হয়ে থাকি। এবার আপনি বিষয়টি বুঝে নিন।’