পর্যটন ক্ষেত্রে বাংলাকে এক নম্বর জায়গাতে নিয়ে যেতে হবে। এই নির্দেশ কদিন আগে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই গজলডোবা থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম সর্বত্র পর্যটনের বৃদ্ধি ঘটেছে। আজ, মঙ্গলবার দিঘায় গিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের কাজ দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে হলদি নদীর তীরে ‘কটেজ অন হুইলস’ ট্যুরিজমের পরিকল্পনা করল হলদিয়া পুরসভা। পরিবেশ বান্ধব কটেজের সঙ্গে থাকবে ভ্রাম্যমাণ অডিটোরিয়াম করবে তারা। বন্দর শহরের পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তুলতেই এমন উদ্যোগ। প্রায় ৪ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য। রাজ্যে এমন উদ্যোগ প্রথম বলে দাবি করেছে হলদিয়া পুরসভা। বিদেশের ধাঁচে ইকো ট্যুরিজিমের প্রসারে নদী তীরে এই কাজ করা হবে।
হলদিয়া বন্দরশহর হওয়ায় সেখানে বহু মানুষের আসা–যাওয়া আছে। এমনকী বহু পর্যটক এখানে এসে থাকেন দেশ–বিদেশ থেকে। তাই এই পর্যটকদের আকর্ষিত করতে হলদিয়া পুরসভা বন্দর শহরের নির্জন নদী তীরে ভ্রাম্যমাণ কটেজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে। মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তের জন্য সব ধরনের আয়োজন থাকবে। বাঙালিয়ানার সঙ্গে আধুনিকতার মিশেল থাকবে। উপকূল এলাকায় স্থায়ী নির্মাণ না করেই এমন উদ্যোগ অন্যান্যদের কাছে মডেল হয়ে উঠবে। হলদিয়া পুরসভা সূত্রে খবর, কোস্টাল রেগুলেশন জোন অ্যাক্ট মেনে হলদিয়ায় নদী তীরে পর্যটনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ওটা জনগণের টাকা, কেউ অপব্যবহার করলে টলারেট করব না’, অফিসারদের ধমক মমতার
তবে গোটা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা জলপথে ব্যাপক আনন্দ নিয়ে আসবে এখানে আসে পর্যটকদের বলে মনে করা হচ্ছে। মন্দিরমণিতে সৈকতের ধারে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। সেটা এখানে হবে না। কারণ কোনও স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে না। এই কটেজ অন হুইলস তৈরির পরিকল্পনা সফল হতে চলেছে। হলদিয়ার মহকুমা শাসক তথা পুরসভার প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুরসভা কর্তৃপক্ষ নদীর তীরে ভ্রাম্যমাণ কটেজ করার চিন্তা করছে। একটি সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে হলদিয়া এসে দেখবেন তাঁরা। ভিন রাজ্যের ওই সংস্থা, হলদিয়া পুরসভাকে দেখাতে ট্রাকে করে একটি কটেজ নিয়ে আসবে। কটেজ ছাড়াও এখানে ডরমেটরি, মিনি অডিটোরিয়াম হলঘর এবং মোবাইল সুইমিং পুল থাকবে।’
পূর্ব মেদিনীপুরে বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ সব লণ্ডভণ্ড করেছে। আর ততবার সাজিয়ে তুলেছে রাজ্য সরকার। হলদিয়ায় হলদি এবং হুগলি নদীর মোহনায় পুরসভার বিদ্যাসাগর পার্ক আছে। কয়েক বছর আগে আমেরিকা এবং জাপানের দুই কনসাল জেনারেল হলদিয়া এসেছিলেন। তখন হলদি নদীতে নৌকাবিহারের পর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন। এবার হলদিয়া পুরসভা সেই কথা মাথায় রেখে নদীভিত্তিক পর্যটন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। কটেজ অন হুইলসের সঙ্গে হলদিয়াকে ঘিরে উইক এন্ড ট্যুর প্যাকেজের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।