মৃতের মুখ ছিল গামছা দিয়ে বাঁধা। প্লাস্টিকের তার দিয়ে হাত দুটো আর কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল পা। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এভাবেই ঝুলছিল দেহটা। বীরভূমের খয়রাশোলের হজরতপুর গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর। তিনি বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। গেরুয়া শিবিরের দাবি খুন করে তাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সরাসরি অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই ওই বুথ সভাপতি বাড়ি ছাড়া ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ফিরে এসেছিলেন। তারপরই তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
এদিকে তাঁর স্ত্রীরও দাবি, হাত পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে তৃণমূলের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর ওই বিজেপির বুথ সভাপতি সম্প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তার পরিণতিতে এই ঘটনা কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর বুথ সভাপতি ছিলেন। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এর পেছনে রয়েছে। ক্ষমতা দখলের নামে সন্ত্রাস তৈরি করছে।’ তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘গোটা জেলায় বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। কিছু হলেই তৃণমূলের নামে দোষ দিচ্ছে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদের জের। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নন।’