একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল কোচবিহারে। ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় পেশায় শিক্ষক এক ব্যক্তির দেহ। পাশের ঘর থেকে পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী ও পুত্রসন্তানের দেহ। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজের বাংলা বিভাগের স্থায়ী শিক্ষক ছিলেন উৎপল বর্মণ। তিনি কোচবিহারে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার ভাড়াবাড়ির ঘর থেকে উৎপলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উৎপলের হাত দুটি হেডফোন দিয়ে বাঁধা ছিল। পাশের ঘর থেকে উৎপলের স্ত্রী ও তাঁর ছোটো ছেলের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছিল। এদিন সকালে বাড়িওয়ালা ডাকাডাকি করার পর কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় শিক্ষকের পরিবারের লোকেদের খবর দেয়। মঙ্গলবার থেকেই তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। পরিবারের লোকেরা এসে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকতেই এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ এসে দেহ তিনটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা যাচ্ছে, মৃত ওই শিক্ষকের আদি বাড়ি দিনহাটার গোসানিমারি এলাকায়। ঠিক কী কারণে শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেউ তাঁকে খুন করে দিয়ে গেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে এখনই কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে, শিক্ষককে হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে শিক্ষক যদি সত্যি আত্মহত্যাই করে থাকবেন, তাহলে কী তাঁর হাত বাঁধা থাকত।