বিয়ের দিন ডিজের তালে তাণ্ডব করছিলেন বরযাত্রীরা। পুরুতমশাইয়ের নির্দেশে বন্ধ করা হয় ডিজে। সেই রাগে বিয়ের ২১ দিনের মাথায় বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল বীরভূমে। শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বধূর ঝুলন্ত দেহ। বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২১ দিন আগে বীরভূমের পাইকরের বাসিন্দা সরস্বতী (১৯) এর বিয়ে হয়েছিল নলহাটির পাইকপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিত মালের। বিয়ের দিন তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে তাণ্ডব করছিলেন বরযাত্রীরা। অভিযোগ মত্ত অবস্থায় ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই। এতে পুরোহিতমশাইয়ের বিয়ে দিতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই ডিজে বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। এর জেরে ডিজে বন্ধ করে দেয় সরস্বতীর পরিবারের সদস্যরা। এতেই ক্ষেপে ওঠে বরযাত্রীরা। সাউন্ড বক্সে লাথি মারতে শুরু করে তারা। এর জেরে ডেকরেটার্সের কর্মীদের সঙ্গে তাদের বিবাদ বেঁধে যায়। শেষ পর্যন্ত প্রীতিভোজে অংশ না নিয়েই ফিরে যান তাঁরা। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যান এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি ধর্মরাজ পুজো উপলক্ষে সাঁইথিয়ার খাতড়া গ্রামে মাসিশাশুড়ির বাড়ি গিয়েছিলেন সরস্বতী। শুক্রবার সকালে সেখানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
সরস্বতীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পর থেকেই তাঁকে গঞ্জনা দেওয়া হচ্ছিল। ডিজে বাজানো নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে নববধূকে। ইতিমধ্যে সাঁইথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। শুরু হয়েছে তদন্ত। আর তদন্তে নেমেই শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।