অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা সাঁতরাগাছির আরপিএফ ব্যারাকে। সেই ব্যারাকে এক মহিলা আরপিএফ কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। তাঁর নাম পুনম মিশ্র। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে। বছর খানেক আগে তাঁর চাকরি হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি সাঁতরাগাছিতেই পোস্টিং ছিলেন। আর সেই সাঁতরাগাছির ব্যারাক থেকেই উদ্ধার হল তাঁর দেহ।
ব্যারাকের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল তাঁর দেহ। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে ফ্য়ান থেকে পুনমের দেহ ঝুলছিল সেই ফ্য়ানের একটি ব্লেডের উপর একটি মোবাইল ফোন রাখা ছিল। কিন্তু ওখানে মোবাইল ফোন গেল কী করে? প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে হয়তো একেবারে শেষ সময়ে তিনি মর্মান্তিক পরিণতির ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব হয়েছে কি না সেটা জানা যায়নি। নাকি শেষ সময়ে তিনি কারোর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে তিনি ব্যারাকের ঘরে থাকতেন।
সেই ঘরে আরও একাধিক আরপিএফ কনস্টেবল থাকতেন। সব মিলিয়ে ৫জন থাকতেন ওই ঘরে। সেখানে তিনজন বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। অপর একজন সকালেই ডিউটিতে চলে যান। ঘরে ছিলেন পুনম একা। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ বার বার দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরেও খোলেনি। এরপর দরজা ভাঙা হয়। এরপর দেখা যায় ওই মহিলার দেহ ফ্য়ান থেকে ঝুলছে। তিনি কোনও জায়গায় সুইসাইড নোট লিখেছেন কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
তবে এই মৃত্যুকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি মানসিক কোনও অবসাদে ভুগছিলেন তিনি? তার সহকর্মীরা কি এনিয়ে কিছু জানতেন? নাকি গোটা বিষয়টি সহকর্মীদের কাছে এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি? তবে পুলিশ সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে। তার মোবাইলটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চাকরির দু বছরের মধ্যে কী এমন হল যে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি?