দেগঙ্গায় নিজের ঘর থেকেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি খুন নাকি আত্মহত্যা, সে বিষয়ে অবশ্য পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী পঞ্চায়েত সদস্যার নাম পম্পা দত্ত। দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। এদিন সকালে পম্পার স্বামী টুটুল দত্ত যখন তাঁর মেয়েকে নিয়ে জামা কিনতে গিয়েছিলেন, তখন নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পম্পাকে ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরাই পম্পার স্বামী ও মেয়েকে খবর দেন। এরপর পম্পাকে স্থানীয় পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন পম্পা দত্ত। মায়ের মৃত্যু কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে। কাঁদতে কাঁদতেই সে বলে ওঠে, ‘মা এটা কী করল, একবার আমার কথা ভাবল না।’
ঘটনার খবর পেয়েই আসেন দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। মফিদুল জানান, তিনবার পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গতকালও মানব-পাচার বিরোধী অভিযানে সামিল হয়েছিলেন। বিডিও অফিসে যখন বৈঠক করছিলাম, তখন এই খবর পাই। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অন্য পঞ্চায়েত সদস্য দীপিকা চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় যথাযথ তদন্তের দাবি তুলেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই এই ঘটনাটি খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।