বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বেপরোয়া গতিতে টোটোয় ধাক্কা মোটরসাকেলের, মৃত্যু হেলমেটহীন কিশোরীর

বেপরোয়া গতিতে টোটোয় ধাক্কা মোটরসাকেলের, মৃত্যু হেলমেটহীন কিশোরীর

প্রতীকি ছবি

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বান্ধবী রিয়া হালদার ও বন্ধু সোনু রজকের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সুস্মিতা। তখনই জুলপিয়া রোডে সজনেবেড়িয়ার কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় মোটরসাইকেলটি।

টোটোর সঙ্গে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। ঘটনা কলকাতা লাগোয়া হরিদেবপুর থানা এলাকার জুলপিয়া রোডের। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন। এই ঘটনার পর রাস্তায় মোটরসাইকেলের তাণ্ডব নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। হেলমেটহীন মোটরসাইকেল চালক ধরতে তৎপর হয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম সুস্মিতা সরদার। বাড়ি ব্রহ্মপুর নাথপাড়ায়। তবে তিনি থাকতেন মথুরাপুরে মামাবাড়িতে। বই কিনতে কয়েকদিনের জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তখনই বেঘোরে গেল প্রাণ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বান্ধবী রিয়া হালদার ও বন্ধু সোনু রজকের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সুস্মিতা। তখনই জুলপিয়া রোডে সজনেবেড়িয়ার কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় মোটরসাইকেলটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলটি চক্রবেড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। একটি জলের ড্রাম ভর্তি টোটো জল নামিয়ে ডান দিকে ঘুরতেই সেটিকেপ্রবল বেগে ধাক্কা মারে মোটরসাইকেলটি। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়েন সোনু ও রিয়া। আর সুস্মিতা গিয়ে পড়েন পাশের একটি দেওয়ালে। গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর। এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রাই।

মৃতের দাদা সৌমেন সরদার জানিয়েছেন, আজই ওর মথুরাপুর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। দুপুরে একজন ফোনে দুর্ঘটনার কথা জানান। হাসপাতালে গিয়ে দেখি বোনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, চকচকে রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায় কিছু উঠতি বয়সের ছেলে। পুলিশ নির্বিকার। ঘটনার পর এলাকায় হেলমেটহীন মোটরসাইকেল আরোহীদের ধরতে দেখা যায় পুলিশকে।

 

বন্ধ করুন