প্রতিবেশির সঙ্গে সংঘর্ষে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্ত্রী। আর স্বামীর মুখে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর খবর রটতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় গ্রামবাসীরা। বাড়ির একাংশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় মোটরসাইকেলও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় নামানো হয় র্যাফ। ভুল খবর রটানোর জন্য মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুরের কদম্বগাছি কাঠালিয়া গ্রামে। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ কাঠালিয়ার বাসিন্দা হালিমা বিবির স্বামী তাজাফার আলি মণ্ডল জানান, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে তাঁর স্ত্রী আর নেই। এরপরই গ্রামবাসীদের রোষ গিয়ে পড়ে কয়েকদিন আগের সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযুক্ত রাজু মণ্ডলের বাড়ির ওপর। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাজু মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। টোটো বাইকেও ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি বাড়ির একাংশেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা গ্রাম রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দত্তবাগান থানার পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে হালিমা বিবির স্বামী তাজাফার আলি মণ্ডল জানান, ‘হাসপাতাল থেকেই আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছিল আমার স্ত্রী আর নেই। কিন্তু পরে জানা যায়, আমার স্ত্রীকে আরজি করে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হালিমার স্বামী জানান, দুদিন আগে যখন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তখন পুলিশকে আমি সবকিছুই জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। বড়বাবুর টেবিলে সব কাগজ পড়েছিল। রাজু মণ্ডল ও তার পরিবারের লোকেরা আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে।’ এক গ্রামবাসী জানান, হালিমা বিবিদের সঙ্গে একান্তই পারিবারিক বিবাদ হয়েছিল রাজুদের। হালিমা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হালিমা মৃত্যুর খবর ওর স্বামীই রটিয়েছে।