আপনাদের ভয়ে উনি দার্জিলিং পালিয়েছে। গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের দাবিকে সমর্থন করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ভোটের রাজনীতি করতে স্থায়ী চাকরি দেওয়ার বদলে সেই টাকায় ভাতা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন - কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রীর বিসর্জনের আগেই দাউ দাউ করে আগুন ক্লাবে, মৃত ১
পড়তে থাকুন - উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং, ডাকার পরেও এলেন না ১৪৪জন, চাকরি নিতেও অনীহা!
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আপনাদের জয় তো আগেই হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোম – মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে যাওয়ার কোনও কথা ছিল না। ওখানেও তো আমার লোক আছে। আইএএস – আইপিএসরা আমার লোক আছে। ওর মধ্যে ভর্তি হয়ে আছে। কোনও পরিকল্পনা ছিল না। দার্জিলিং পালিয়েছে আপনাদের ভয়ে। যেদিন কোর্টে অর্ডার হয় সেদিন সন্ধ্যাবেলা বলেছে, আমি এখানে থাকব না। কারণ উনি এত মিথ্যা কথা বলেছেন যা মাপার মতো কোনও ফিতা পৃথিবীতে বেরোয়নি।’
আরও পড়ুন - ভাসান দেখে ফেরার সময় মারধরে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার ৩, অধরা মূল অভিযুক্ত
তিনি আরও বলেন, ‘গোটা পশ্চিমবঙ্গে একটাও চাকরি নিয়োগ হবে না। এমনিতে তো ইনি নিয়োগ করতে চান না। আমি ওনার মন্ত্রী ছিলাম, ১৬ – ২০। ফাইল নিয়ে গেছিলাম, যে মাননীয়া ম্যাডাম এই কাজগুলো করার দরকার। বলল, শুভেন্দু শুনে রাখো। এই যে ফাঁকা পোস্টগুলোকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে নিয়োগ করতে বলেছো এতে আমার লাভ কী? আমার তো কোনও লাভ হবে না। একটা গ্রুপ ডি বা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দিতে গেলেও তো ২৫ – ৩০ হাজার টাকা লাগে। আমি যদি একটা চাকরি দিই তার বাড়িতে ৩ – ৪টে ভোট। তাও শিক্ষিত লোক। আমাকে দেবে কি না জানি না। আর আমি যদি ওই ২৫ হাজার টাকা ৫০০ টাকা করে ৫০টা বাড়িতে দিয়ে দিতে পারি তাহলে প্রতি পরিবারে গড়ে ৪টে করে ভোট ধরলে ২০০টা ভোট আমার হয়ে গেল। এই হচ্ছে এনার মানসিকতা।’