সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। আর কার্যত তারপরই একেবারে তেড়েফুঁড়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী থেকে দলের জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। তাঁর নিশানা থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে যাওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তার জেরেই তিনি দলের বিভিন্ন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সুকৌশলে তোপ দেগে তৃণমূলের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। তবে বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টিকে যে আর হালকা ভাবে দেখছেন না সেটা কার্যত এদিন ইঙ্গিত দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণ কল্যাণী পার্টিতে নতুন এসেছেন তাই সমস্ত নিয়মকানুন জানেন না। আস্তে আস্তে শিখে নেবেন।’ তবে দল সূত্রে খবর, রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ছবি আগেই কৃষ্ণ কল্যাণীর দফতর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এবার সেই কার্যালয় থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে দিল্লিতে বিজেপির জেলা সভাপতি ও সাংসদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে শুক্রবার রাতেই রায়গঞ্জে ফেরেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে তার আগেই একে একে সরিয়ে ফেলা হয় দলীয় নেতৃত্বের ছবি। এমনকী মানসিক রোগী বলে উল্লেখ করেও সাংসদ ও বিধায়কের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা। তবে প্রশ্ন একটাই কৃষ্ণর তৃণমূলে যোগ কী এখন সময়ের অপেক্ষা?