তাঁর দিকে ‘উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত’-এর কটাক্ষ উড়ে এসেছিল। এবার নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পালটা ‘তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানি’-র ‘ক্যানসার’ হিসেবে পালটা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
নয়া বছরের প্রথম রবিবার কাঁথির ঢোলামারি বাজার থেকে মুকুন্দপুর পর্যন্ত রোড শো করেন নবাগত বিজেপি নেতা। তাতে মানুষের ঢল নেমেছিল বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। মুকুন্দপুরে রোড শো শেষে যথারীতি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু। অভিযোগ করেন, শুভেন্দুর রোড শো'তে যাতে ভিড় কম হয়, সেজন্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আটকানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্তু আখেরে কোনও লাভ হয়নি। চারটি অঞ্চল থেকে রোড শো'তে মানুূষ ভিড় জমিয়েছেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করারও ডাক দেন।
যথারীতি ‘তোলাবাজ ভাইপো’-কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। বলেন, ‘বলছে শুভেন্দু অধিকারী উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত। দলে ছিল। আরে উপসর্গহীন হলে মরে না, বেঁচে যায়। আর তুমি তো তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানির ক্যানসার, এমন পচন লেগেছে। মাথা থেকে শুরু হয়েছে, বাঁচার কোনও উপায় নেই। পা হলে কেটে বাদ দিয়ে দিত। হাত হলে কেটে বাদ দিয়ে দিত। মাথায় পচন ধরেছে।’
গত ২৮ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আপনারা জানেন, এই যে করোনা চলছে, করোনায় অনেক জায়গায় রোগটা ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন মুম্বইয়ের ধারাভি বলে একটা বস্তি ছিল, রোগটা ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। কলকাতায় দেখবেন আমাদের স্প্রেড (সংক্রমণ) বেড়েছিল, হাওড়ায় বেড়েছিল। তার কারণ কী? করোনায় ৮০ শতাংশ লোক উপসর্গহীন। উপসর্গ নেই তাঁদের - উপসর্গহীন। আমাদের দলেও কিছু উপসর্গহীন বেইমানেরা ছিল। এই বেইমানগুলোকে আমরা চিহ্নিত করেছি।’
একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ধাঁচে পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। হুঁশিয়ারির সুরে জানান, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা আসার পর ‘দলদাস, ক্রীতদাস’ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।