স্কুল খোলায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হল প্রধান শিক্ষককে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমন বেনজির ঘটনারও সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গ। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের হাট সরবেড়িয়া বিসি রায় স্কুলে দশম শ্রেণির পঠনপাঠন হয়। এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে শিক্ষা দফতরে। তড়িঘড়ি স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়ে প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটককে শো-কজ করেন স্কুল পরিদর্শক।
সেই শো-কজের জবাবে বৃহস্পতিবার বৃন্দাবনবাবু জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে স্কুল খোলা ভুল হয়েছিল। এমন ভুল আর হবে না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এমন শো-কজের মুখে পড়া দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন অনেকে।
বুধবার দাসপুরের হাট সরবেড়িয়া বিসি রায় স্কুলে দশম শ্রেণির পঠনপাঠন হয়। স্কুলের পোশাক পরে ক্লাস করে জনা ত্রিশেক পড়ুয়া। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হলে প্রধান শিক্ষক জানান, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের অনুরোধেই স্কুল খোলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে শুধু দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের কোচিং ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল।
স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক জানান, আগামী বছর মাধ্যমিকে বসবে মেয়ে। সব বিষয়ে প্রাইভেট টিউটর দিতে পারিনি। তাই বেশ কিছু বিষয়ে পিছিয়ে পড়ছিল। সেজন্য প্রধান শিক্ষককে স্কুলে পঠনপাঠন শুরু করার অনুরোধ করি। অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদেরও একই পরিস্থিতি। সবার কথা বিবেচনা করে স্যার ক্লাস চালু করেছিলেন। তাঁকে এমন বিপদের মুখে পড়তে হবে ভাবিনি।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।