স্কুল খুলতেই করোনার থাবা। নীলমণি ব্রহ্মচারী ইনস্টিটিউশনের পর পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর আরও একটি স্কুলে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। এলাকায় সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেল। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হল সেই স্কুলের পঠন-পাঠন।
গত ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে স্কুলের পঠন-পাঠন। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে পূর্বস্থলীর দুটি আলাদা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হলেন। জানা গিয়েছে, নীলমণি ব্রহ্মচারী ইনস্টিটিউশনের যে শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তাঁরই স্ত্রী সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষিকা। গত ২৯ নভেম্বর শেষ তিনি স্কুলে এসেছিলেন। সেদিনই তিনি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকাদের জানিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই তিনি স্কুলে আসতে পারছেন না। এই খবর জানার পরই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পূর্বস্থলী হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার প্রশান্ত সরকার জানান, গতকাল সাবিত্রী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা করোনা পরীক্ষা করান। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যে করোনা পরীক্ষা করিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। স্কুলকে ইতিমধ্যে স্যানিটাইজেশন করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি আশিস কুমার দে জানান, 'প্রধান শিক্ষিকা শেষ বার ২৯ তারিখে এসেছিলেন। সেদিন হাজিরা খাতায় সই না করে তিনি চলে গেলেন। যাওয়ার সময় উনি বলে গিয়েছিলেন, ওনার স্বামী কোভিড পজিটিভ। তাই তিনি সই করবেন না। ফলে স্কুলের অন্যান্য দিদিমনিদের আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়।' একইসঙ্গে তিনি জানান, 'পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আপাতত স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি স্কুল খুলতে হবে। কারণ টেস্ট পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এলাকার বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, আগামী শনিবার পর্যন্ত ওই স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্কুলের উচিত ছিল আগে ছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া। কিন্তু তা করা হয়নি। জানিয়ে দিলে আজকে আর ছাত্রীরা আসত না। তবে বিধায়ক নিজেই উদ্যোগী হয়ে ছাত্রীদের জানিয়ে দেন স্কুলে না আসতে।'