পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ট্যাবের টাকা। পড়ুয়াদের পাওয়ার কথা থাকলেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাদের বদলে অন্যদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। এই অবস্থায় রবিবার সরকার পোষিত এবং সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুলের প্রধানদের সংগঠন উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য ট্যাবলেট কেনার জন্য বরাদ্দ তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। দ্য অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস (এএসএফএইচএম) সংগঠনটি রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে এবিষয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ট্যাব চাই’ দাবিতে পথ অবরোধে নামল পড়ুয়ারা, প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসেও হল না কাজ
এদিন সংগঠনটি আরও দাবি জানিয়েছে, যে প্রধান শিক্ষকদের ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ এরফলে তাদের হয়রানি এবং মানসিক চাপ বাড়ছে। শিক্ষা দফতরকে দেওয়া চিঠিতে সংগঠনটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুর সহ বেশ কিছু জেলায় তা প্রাপকদের কাছে পৌঁছায়নি।
সংগঠনটি এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে , এটি বাংলার শিক্ষা পোর্টালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্বলতার দিকটি উল্লেখ করছে। এরফলে ভবিষ্যতে স্কুলগুলি সমস্যায় পড়তে পারে। তাই অবিলম্বে নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত রাজ্য সরকারের।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি পিটিআই-কে বলেছেন যে টাকা এইভাবে ভুল অ্যাকাউন্টে তখনই যেতে পারে যখন পড়ুয়াদের তথ্য হ্যাক করা হয়। তিনি উল্লেখ করেছেন ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের জন্য ওটিপি-ভিত্তিক লগইন শুধুমাত্র তালিকার চূড়ান্ত করাকেই যাচাই করে। কিন্তু, ব্যাঙ্কের বিবরণ পরিবর্তন বা ভুয়ো ছাত্র প্রোফাইল তৈরিতে কোনও বাধা দেয় না। চন্দন মাইতি বলেন, প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষিকারা শুধুমাত্র তাদের দেওয়া তালিকার উপর কাজ করে। এইভাবে কোনও অসঙ্গতির জন্য তাঁরা দায়ী নন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন চারজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরেই এই দাবি উঠেছে। যদিও ওই প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এর সঙ্গে জড়িত। মালদা এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেও একই রকম অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সংগঠনটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে প্রধান শিক্ষকদের অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। চিঠিতে, অ্যাসোসিয়েশন এরফলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের উপর যে মানসিক চাপ পড়ছে তা তুলে ধরেছে।