দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ায় ফাঁকা মাঠে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জলিলকে জেরা করে বিস্ফোরক তথ্য পেল পুলিশ। জানা গিয়েছে, চুরির মালের বখরা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন হয়েছে হজরত। তবে সঙ্গে রয়েছে অন্য কারণও। তবে ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুনের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় জম্মু কাশ্মীরের সাম্বা থেকে অভিযুক্ত জলিলকে গ্রেফতার করে এনেছে বারাসত জেলা পুলিশ। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে আক্রান্ত ও আক্রমণকারী প্রত্যেকেই চুরি চক্রের সদস্য। এরা প্রত্যেকেই পেশাদার চোর। রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় চুরি করে বাংলাদেশে পালিয়ে যেত তারা। কয়েক মাস পরে বিষয়টি ঠান্ডা হলে ফিরে এসে আবার চুরি করত। তেমনই একটি জায়গা থেকে ৪০০ গ্রাম সোনা চুরি করেছিল চক্রটি। সেই সোনা ছিল হজরতের কাছে। অভিযোগ, অভিযুক্ত জলিল ও ওবাইদুলকে মনমতো বখরা দেয়নি হজরত। এর জেরে তার প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয় ওই ২ জনের। এছাড়া সম্প্রতি চুরির পেশা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টা করছিল হজরত। পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করছিল সে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই দুষ্কৃতীদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করে এমন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর জেরে জলিলদের কারবার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তাই হজরতকে খুন করার পরিকল্পনা করে জলিলরা।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন হজরতকে ছোট জাগুলিয়ার বাড়িতে ডেকে পাঠায় জলিল। সেখানে হাজির ছিল ওবাইদুল। সবাই মিলে গল্প গুজব করতে করতে রাতে মাঠের দিকে যায়। তখন হঠাৎ ভারী কিছু দিয়ে হজরতের মাথায় আঘাত করে জলিল। হজরত সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তখন জলিল ও ওবাইদুল মিলে পরিচয় গোপন করতে হজরতের মাথা কেটে নেয়।
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তে পাহারা কড়াকড়ি হয়ে যাওয়ায় এবার অপরাধ করার পর পাকিস্তানে পালানোর পরিকল্পনা ছিল জলিলের।