স্কুল চলাকালীন লজেন্স দেওয়ার লোভ দেখিয়ে খুদে ছাত্রীকে নিজের ঘরে নিয়ে যেতেন প্রধান শিক্ষক। তারপরে যৌন হেনস্থা করতেন ছাত্রীর। দিনের পর দিন এভাবেই লজেন্স দেওয়ার নাম করে খুদে পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই প্রধান শিক্ষককে বেঁধে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে বেধড়ক মারধর করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি পুরুলিয়ার কোটশিলা থানায় এলাকার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
‘একবছরের মধ্যে গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করো’, ধর্ষণে অভিযুক্তের জামিনের শর্ত HC-র
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন প্রধান শিক্ষক। প্রথমে তাঁরা সেই বিষয়টি জানতে পারেননি। পরে সোমবার ওই ছাত্রী তাঁদের সব কথা জানাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরিবারের অভিযোগ, লজেন্স দেওয়ার নাম করে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌনাঙ্গে হাত দিতেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। তারা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বেঁধে মারধর করেন। খবর পৌঁছায় বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় কোটশিলা থানার পুলিশ। গণপিটুনির হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই প্রধান শিক্ষকের বাড়ি জয়পুর থানা এলাকায়। নির্যাতিতা নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করার পর তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে প্রধান শিক্ষক ওই অন্য কোনও ছাত্রীর সঙ্গেও এই ধরণের কাজ করেছে কিনা, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।