স্কুলে সাপের কামড়ে ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। কায়োটার কোশিগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। ইন্দ্রজিৎ মাঝি নামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মঙ্গলবার সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়। স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - বাঁশদ্রোণীতে জনতার রোষ থেকে পুলিশকে উদ্ধারে এগিয়ে এল তৃণমূল, প্রশ্ন করতেই জবাব, 'আমি BJP'
পড়তে থাকুন - বাঁশদ্রোণীতে বিক্ষোভ, আটক বিজেপি নেত্রী, 'থানায় সারারাত থাকব,' ধর্নায় বসলেন রূপা
মৃত কিশোর কাটোয়ার কোশিগ্রাম বাঁধপাড়ায় বাড়ি ইন্দ্রজিতের। মঙ্গলবার স্কুলে গেলে তাঁকে সাপে কামড়ায়। সেকথা এক শিক্ষককে জানায় ছাত্রটি। সেই শিক্ষক শিক্ষাকর্মীকে ইন্দ্রজিতের চিকিৎসা করতে বলেন। চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মচারী ছাত্রের পায়ের ক্ষতে ডেটল লাগিয়ে ছেড়ে দেন। অভিযোগ, সাপে কামড়ালেও ওই ছাত্রকে ছুটি দেওয়া হয়নি। তাঁকে ক্লাস করতে বাধ্য করা হয়।
বিকেলে বাড়ি ফিরে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে ছাত্রটি। কিছুক্ষণের মধ্যে বমি করতে শুরু করে সে। বিকেল ৪টে নাগাদ পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠলে তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনরা। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের গাফিলতিতেই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এমনকী প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন - 'সুপ্রিম কোর্ট যেন মনে রাখে……', হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের! ‘চাপ’ দিলেন CBI-কেও
এর পর স্কুলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক পূর্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তারা। যোগ করা হয় জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ধারাও। এর পর গ্রেফতার করা হয় প্রধান শিক্ষককে। স্কুলে সাপের কামড়ে ছাত্রের মৃত্যুতে প্রধান শিক্ষকের গ্রেফতারির বিরোধিতা করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা।