বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ট্রেনের কামরার ধাঁচে ক্লাসরুম, অভিনবত্ব নিয়ে এসে শিক্ষারত্ন পেলেন মনোজ মাস্টার

ট্রেনের কামরার ধাঁচে ক্লাসরুম, অভিনবত্ব নিয়ে এসে শিক্ষারত্ন পেলেন মনোজ মাস্টার

ট্রেনের কামরার ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্কুলের ক্লাসরুম।

আর তাই ট্রেনের কামরার ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্কুলের ক্লাসরুম।

স্কুল কবে খুলবে তার কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানা নেই। আবার করোনাভাইরাসের জেরে অনলাইন ক্লাসে এখন আগ্রহ হারাচ্ছে শিশু পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে নয়া ভাবনা নিয়ে এসেছেন অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গতানুগতিকতার বাইরে বেরিয়ে ট্রেনের কামরায় বসে পড়াশোনা করলে কেমন হয়? তাঁর মনে হয়েছিল, এভাবে শিশুদের আকৃষ্ট করা যাবে। আর তাই ট্রেনের কামরার ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্কুলের ক্লাসরুম। গোটা স্কুলের দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন মনীষীদের ছবি। স্কুলের সিঁড়িতেও রয়েছে শিক্ষার পাঠ। এই পরিকল্পনা উত্তর ২৪ পরগনার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ ঘোষের। যিনি বদলে দিয়েছেন অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন বিদ্যালয়কে। তাই এবারের শিক্ষারত্ম সম্মানে ভূষিত করা হবে তাঁকে।

এই প্রধানশিক্ষকের চিন্তাভাবনায় আমূল পরিবর্তন এসেছে বিদ্যালয়ের। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। এখন এলাকার প্রথমসারির স্কুলগুলির সঙ্গে উচ্চারিত হয় অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন বিদ্যালয়ের। এখানে পড়াশোনায় যেমন ব্যতিক্রম আনা হয়েছে তেমনি স্কুলের মধ্যে নাট্যমঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। স্কুলের সামনে বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। সবরকম শিক্ষাই দেওযা হবে এখানে। তাই দেখে বেশ খুশি স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকেরা।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন মনোজ ঘোষ। তখন স্কুলের মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭ জন। স্কুল বাড়ির অবস্থাও ছিল জরাজীর্ণ। এখন আমূলে বদলেছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১৫০। শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন বিভাগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সেরার স্কুলের শিরোপাও অর্জন করেছে বাণীভবন। পুরো কৃতিত্বটাই প্রধান শিক্ষকের। করোনা আবহে দুঃস্থ পড়ুয়াদের বিনামূল্যে শিক্ষাপ্রদান করেছেন তিনি। কিনে দিয়েছেন নানা সরঞ্জাম। এবার মাস্টারমশাইকে সম্মান জানাতে চলেছে রাজ্য সরকার।

আজ, রবিবার শিক্ষক দিবসে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন স্কুলের শিক্ষক থেকে কর্মচারীরা। খুশি পড়ুয়ারাও। মনোজবাবুও শিক্ষারত্ন সম্মান পেয়ে আনন্দিত। ছাত্র–ছাত্রীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‌আধপেটা খাও, কিন্তু পড়াশোনা ভরপেট কর। সমাজে যোগ্য মানুষ হও।’‌

বন্ধ করুন