এবার মিড–ডে মিলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষকরা। এই ঘটনা সামনে আসতেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে স্কুলে এসে খাবার পাওয়া যায়। সেটা বন্ধ হয়ে গেলে পরিবারের উপর চাপ পড়বে। এসবের একটাই কারণ, কেন্দ্রের বরাদ্দ নামমাত্র। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? কেন্দ্রীয় পোর্টালের গোলযোগের কারণে বরাদ্দ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। পাল্লা দিয়েছে আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। সব মিলিয়ে মিড–ডে মিল পরিষেবা চালু রাখতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে রাজ্যকে। তার জেরে সমস্যায় পড়ছে স্কুলগুলিও। এই অবস্থায় মিড–ডে মিলের পরিচালনা থেকে অব্যাহতি চেয়ে শিক্ষাদফতরের দ্বারস্থ হলেন প্রধান শিক্ষকরা। এমনকী শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষাসচিব এবং স্কুলশিক্ষা কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন এএসএফএইচএম।
ঠিক কী দাবি প্রধানশিক্ষকদের? এই নানা সমস্যার সম্মুখীণ হয়ে প্রধানশিক্ষকদের দাবি, যে ন্যূনতম টাকা ছাত্রপিছু বরাদ্দ রয়েছে, তাতে মিড–ডে মিল দেওয়া কার্যত অসম্ভব। আর যেসব স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কম, সেখানে সমস্যা আরও বেশি। মূল্যবৃদ্ধির জেরে ছাত্রছাত্রীদের মিড–ডে মিলে ডিম–আলুর জোগান কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তাই পঠন–পাঠনের স্বার্থেই এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছেন প্রধানশিক্ষকরা।
কী বক্তব্য প্রধানশিক্ষকদের সংগঠনের? এই সংগঠনের (এএসএফএইচএম) সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘এই সামান্য টাকায় মিড–ডে মিল চালাতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। বদনাম নিতে হচ্ছে। তাই আমাদের এই দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক। তাহলে পড়ানোর দিকে আরও বেশি নজর দিতে পারব। কলকাতার স্কুলগুলিতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মিড–ডে মিলের খাবার সরবরাহ করে থাকে। গ্রামের স্কুলেই রান্না হয়। মিড ডে মিলে কেন্দ্র–রাজ্যের বরাদ্দের অনুপাত ৬০:৪০। এই খাতে কেন্দ্র যা দেবে, রাজ্যকেও সেই অনুপাতে টাকা দিতে হবে। তাই কেন্দ্রকেই প্রথমে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।’