স্টিলের হাঁড়ির ভিতর মাথা ঢুকে গেল শিশুর। চিকিৎসকরাও তা বের করতে পারলেন না। শেষে হাঁড়ি কেটে অক্ষত অবস্থায় শিশুর মাথা বের করলেন দমকলকর্মীরা। মঙ্গলবার বনগাঁর কলাপুর এলাকার বিশ্বাস পাড়ায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। বর্তমানে ১১ মাসের ওই শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, বছর দশেকের দাদার সঙ্গে খেলছিল ছোট্ট দেবরাজ। সেই সময় হাঁড়ির ভিতরে আচমকা মাথা ঢুকিয়ে দেয় দেবরাজ। তার দাদা হাঁড়িটি টেনে বের করার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু তাতে কোনও ফল না পাওয়ায় সে পরিবারের বাকি লোকেদের কাছে বিষয়টি জানায়। পরিবারের লোকেরা প্রথমে বিষয়টিতে খুব বেশি আমল দিতে চাননি। ভেবেছিলেন হয়তো টানলেই হাঁড়িটি বেরিয়ে যাবে। কিন্তু বেশ কয়েকবার তার পরেও হাঁড়িটি শিশুর মাথা থেকে না বেরোলে অস্থির হয়ে পড়েন দেবরাজের বাবা, মা। গোটা পাড়ায় বিষয়টি জানাজানি হতেই হুলুস্থুল বেঁধে যায়। এই অবস্থায় কী করলে ঠিক হবে, তা কিছুতেই ঠাওহর করতে পারছিলেন না দেবরাজের বাবা-মা।
পরে স্থানীয়দের পরামর্শে পরিবারের লোকেরা শিশুকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু এই কাজ অসাধ্য দেখে হাসপাতাল থেকে দমকলে বিষয়টি জানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে হাজির হন দমকল কর্মীরা। এরপরেই হাঁড়ি নিপুণভাবে কেটে শিশুর মাথা অক্ষম অবস্থায় বের করতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। তাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগে যাওয়ায় খানিকটা কাহিল হয়ে পড়েছিল শিশুটি। পরে অবশ্য চিকিৎসকদের তৎপরতায় বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।