চোখের ছানি অস্ত্রোপচার নিয়ে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মাত্র ৩ দিনে চোখের ছানির অস্ত্রোপচার করে দৃষ্টিশক্তি হারাতে চলেছেন ১৫ জন রোগী। সেই ঘটনায় এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন। এর পাশাপাশি রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অব অবথার্মোলোজির কাছেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
আরও পড়ুন: পায়ুদ্বার দিয়ে যুবকের পেটের ভিতরে ডিওডোরেন্টের বোতল! বের করলেন চিকিৎসকররা
এই ঘটনার পরে অভিযোগ উঠেছিল স্বাস্থ্য ভবনের অতিরিক্ত চাপে নাকি এরকম গাফিলতি দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসকদের সংগঠন গুলির অভিযোগ, অগস্টে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নির্দেশনা জারি করে বলা হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলি চোখের ছানি অস্ত্রপোচারের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি। তাই প্রতি মাসে সার্জেন্টদের মাথাপিছু ৬০টি করে ছবি অস্ত্রোপচারের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়। চোখের আলো প্রকল্পে ছানি অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে অতিরিক্ত চাপের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে চিকিৎসকদের একাংশ দাবি করেছিলেন। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য, এই ধরনের কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তারল সিদ্ধান্ত নিয়োগী বলেছেন সলিউশনের কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
অন্যদিকে, ঘটনা পরে অনেকেই চিকিৎসকদের গাফিলতিকে দায়ী করেছিলেন। তবে কী করবে ঘটনা ঘটল? তা কেনই বা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে এ কথা জানানো হয়নি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সামগ্রিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। উল্লেখ্য, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের মধ্যে অস্ত্রোপচার হওয়া ১৫ জন রোগীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৩ জনের দুটি চোখ বাদ দেওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।