কয়েকদিন আগেই অমানবিক দৃশ্য দেখেছিল জলপাইগুড়ি। হাসপাতাল থেকে কোনও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত মায়ের দেহ কাঁধে তুলে নিয়েই হেঁটেছিলেন হতদরিদ্র ছেলে। সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখবে পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি। ঘটনার পরে নিন্দার ঝড় উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। বাংলার হাসপাতালে এই ধরনের দৃশ্যে কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যবাসী। তারপরেই তদন্ত কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে, ৫ জন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা, মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিক্ষক চিকিৎসক। এই ঘটনা নিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খাঁ জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল পেশায় দিনমজুর রামপ্রসাদ দেওয়ানের মা লক্ষ্মীরাণী দেওয়ানের। এরপর মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে কোনও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে যান। সেখানে ৩ হাজার টাকা ভাড়া চাওয়া হয়। কিন্তু, একজন হতদরিদ্র মানুষের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে রামপ্রসাদ মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করে দেন। এই ঘটনার পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক এই কথা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এরকম হবে একেবারেই বুঝতে পারিনি। পরে আর এরকম ভুল হবে না।’