স্কুলের স্টাফ রুমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল শিক্ষকের। বুধবার সকালে হুগলির পান্ডুয়ার দাবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। প্রয়াত শিক্ষকের নাম মৃণালকান্তি হালদার (৫১)। ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল শিক্ষক – ছাত্র ও অভিভাবকরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, বুধবার স্কুলে এসে স্টাফ রুমে চুপচাপ বসেছিলেন মৃণালবাবু। জানান, তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। এর পর তাঁকে আম্লশূল নিরাময়ের বড়ি দেন অন্য শিক্ষকরা। সেই বড়ি খেয়ে কিছুক্ষণ পর তিনি বলেন, কিছুটা ভালো লাগছে। এর পর হঠাৎই হেঁচকি তুলে চেয়ারে এলিয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় তাঁকে মাটিতে বসানো হয়। কিন্তু ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। চোখে মুখে জল ছেটালেও কাজ হয়নি। এর পর গাড়ি করে তাঁকে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান সহকর্মীরা। সেখানে শিক্ষককে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।
এর পর শিক্ষকের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। বৈঁচিতে শিক্ষকের বাড়ি থেকে আসেন পরিজনরা। খবর যায় থানায়। পুলিশকর্মীরা এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মৃণালবাবুর।
গত ৩১ মে একই ভাবে কলকাতায় গান গাইতে এসে মৃত্যু হয়েছিলেন সংগীত শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথের। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে হঠাৎ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। পরে জানা গিয়েছিল, কয়েকদিন ধরে বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন গায়ক। হজমের সমস্যা ভেবে আম্লশূল নিরাময়ের বড়ি খাচ্ছিলেন তিনি।