আজ পয়লা বৈশাখ নতুন বছরে ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি কামনায় খাতা পুজোর জন্য দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেল। ১৪২৮ সালকে বিদায় দিয়ে ১৪২৯ সালকে স্বাগত জানাল বাংলা। আর বাঙালির পয়লা বৈশাখে নতুন জামা, মিষ্টি, হালখাতা চিরাচরিত ঘটনা। তাই সকাল থেকেই কালীঘাট, দক্ষিনেশ্বরের মন্দিরে ভিড় বেড়েছে। হাল খাতা করানোর লম্বা লাইন।
ঠিক কী দেখা যাচ্ছে? দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের ভিড় ভালরকম দেখা যাচ্ছে। পরিবারের মঙ্গল কামনায় কেউ পুজো দিচ্ছেন তো কেউ ব্যবসায় যাতে উন্নতিই হয় তার জন্য মায়ের পায়ে খাতা ছুঁইয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান। বাংলা ক্যালেন্ডারে আরও একটা বছর এগিয়ে গেল। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। বছরের শুরুতেই হালখাতা মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে ঠাকুরের আশির্বাদ নেন ব্যবসায়ীরা।
আর কী দেখা গেল? এখানে দেখা গেল, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য পরিবার নিয়ে অনেকে এখানে এসেছেন। পুজো দিচ্ছেন। নতুন পোশাক পরেছেন মানুষজন। মহামারী আতঙ্ক কাটিয়ে নববর্ষের আনন্দে মেতেছেন বঙ্গবাসী। এখানে সকালে প্রভাত ফেরীও হয়েছে। এমনকী রীতি মেনে দোকানে লক্ষ্মী গণেশের পুজোও হয়।
আজ, সুক্রবার পয়লা বৈশাখ হলেও বেশ গরম রয়েছে। যদিও তা উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নেমেছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। মেট্রো চালু হয়ে যাওয়ায় সহজেই সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া এখানের স্কাইওয়াক নিয়ে যাচ্ছে একেবারে মন্দিরের দুয়ারে। ফলে মানুষ ফুল–মিষ্টি নিয়ে পুজো দিচ্ছেন গরম উপেক্ষা করেই। আর তারপরেই পুজো দিয়ে খাবার হোটেলে হিঙের কচুরি খাচ্ছেন।