এই মুহূর্তের সবচেয়ে চাঞ্চল্যের খবর হল—উত্তরবঙ্গে প্রবল ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেছে মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে কেঁপে উঠল জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বিভিন্ন প্রান্ত। উলুধ্বনি দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন সাধারণ মানুষজন। প্রত্যেকের মুখে উলুধ্বনি। আতঙ্কে বয়স্ক মানুষকে জড়িয়ে ধরছে কচিকাঁচারা। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় অনুভূত হল প্রবল ভূমিকম্প। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে বিহার, অসম এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৮টা ৪৯ নাগাদ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা কেঁপে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পথে নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। প্রবল কম্পন অনুভূত হয় ডুয়ার্স, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি–সহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে। কলকাতাতেও অনুভূত হয় সেই মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪, যেটির কেন্দ্রস্থল ছিল সিকিম-নেপাল সীমান্ত বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। ভূমিকম্প কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে ভারত–ভুটান সীমান্ত পেডংয়ের কাছেও কম্পন অনুভূত হয়। প্রবল কম্পন অনুভূত হয় ডুয়ার্স, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জে। সঙ্গে গ্যাংটক, সিকিম–নেপাল সীমান্ত এবং লাচুং এলাকায়ও এই কম্পনের তীব্রতা অনুভূত হয়। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালদা এবং মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় কম্পণ অনুভূত হয়। পাশাপাশি পড়শি রাজ্যের পাটনা, কিশোরগঞ্জ, কাটিহারেও কম্পন অনুভূত হয়। একটি সূত্রে খবর মিলেছে, উৎসস্থল অসমের কোকরাঝাড়ে মাটির ১৩ কিলোমিটার গভীরে বলে খবর। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
অন্য আর একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের এপিসেন্টার সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০ কিলোমিটার অন্দরে ছিল। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল লাচুং থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে। বেশ কয়েক সেকেন্ড এই কম্পন স্থায়ী হয়। কম্পন অনুভূত হয় সিকিম, ভূটান ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। এই কম্পনের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ালেও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলাতেও কম্পন টের পাওয়া যায়।