পড়তায় পোষাচ্ছে না। রাজ্য কার্যত লকডাউনে মিষ্টি দোকান সাত ঘণ্টা খোলা রয়েছে। কিন্তু সেই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতার তেমন আনাগোনা নেই। ফলে বিক্রিও নেই। এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে বিপুল লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে। আবার মিষ্টি তৈরি করার জিনিসপত্রের দাম আগুন ছুঁয়েছে। তাই অভিনব প্রতিবাদের পথ ধরল এক মিষ্টি ব্যবসায়ী। একের পর এক থালা ভর্তি মিষ্টি রাস্তায় ফেলে লকডাউনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন এক মিষ্টি ব্যবসায়ী।
ঠিক কী ঘটেছে? টেকাটুলি বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী অমিত মোদক অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন হাজার টাকার মিষ্টি ফেলে দিলাম। রোজ ফেলে দিতে হয় আমাকে। আজ থেকে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দোকানে দু’জন কর্মচারী আছেন। তাঁদের খরচ দিতে হয় নিজের পকেট থেকে। মিষ্টির বিক্রি একদম নেই। সরকার একটু নজর দিক।’
রাজ্যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। তাই কার্যত লকডাউন। এই লকডাউন চলবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত। তবে লকডাউনের মধ্যে মিষ্টি দোকান খোলা থাকছে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। কিন্তু বিক্রি একদম নেই বলে অভিযোগ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। তাঁদের দাবি, সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজার খোলার অনুমতি রয়েছে। তখন মিষ্টির দোকান বন্ধ কেন? আর যে সময় মিষ্টির দোকান খোলা থাকছে তখন কার্যত বাজার জনমানব শূন্য। তাই দোকান খোলা থাকলেও বিক্রি নেই মিষ্টির। এই অবস্থায় লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে।
এই অবস্থায় নিজের দোকানের মিষ্টি রাস্তায় ফেলে দিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন ময়নাগুড়ির টেকাটুলি বাজারের অমিত মোদকরা। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, রোজ কাঁচামাল হিসাবে কয়েক লিটার দুধ কিনে মিষ্টি বানাতে হয়। কিন্তু মিষ্টি বিক্রি না হওয়ায় প্রায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, ‘দোকান খোলা রেখেও লাভ নেই। লোকজন শহরে আসছেন না। গ্রামের লোকজনও শহরে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে কেনাবেচা তেমন নেই।’