টানা দুদিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টি। জলের তলায় চলে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। পশ্চিমমেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশও জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। এদিকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমিও জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক কার্যত ভেসে গিয়েছে জলে। হলদি নদীর ধারে কালিচরণপুর, গড়চক্রবেড়িয়া, সোনাচূড়া, কেন্দামারি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার উপর দিয়ে জল বইছে। বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এলাকার একাধিক নদীতে জলবৃদ্ধি হয়েছে। এর সঙ্গেই সমুদ্রও উত্তাল হয়ে উঠেছে। সেকারণেই এলাকায় জল নামতে পারছে না। সেকারনেই সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ইয়াসের থেকেও ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। অধিকাংশ চাষের জমিই জলের তলায় চলে গিয়েছে। মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। নদীর জলও হু হু করে বেড়েছে। এদিকে জল ঢুকেছে হলদিয়াতেও। হলদিয়া পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমে গিয়েছে। জল কোনওভাবে বেরতে পারছে না। মূলত নদীগুলির জল বৃদ্ধি পাওয়াতেই এলাকার জল বেরতে পারছে না। বহু বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। তাদের ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে।
এদিকে পশ্চিমমেদিনীপুরের চন্দ্রকোণাতেও শিলাবতী নদী ক্রমেই ফুঁসছে। কাঠের সেতুর উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। এদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেই জলমগ্ন সেতুর উপর দিয়েই পারাপার করছেন বাসিন্দারা। যে কোনও সময় জলের টানে ভেসে যেতে পারে কাঠের সেতু। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।