ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এখন তার অবস্থান ঝাড়খণ্ডের। ২৪ ঘণ্টা পর ইতিমধ্যেই শক্তি ক্ষয় করে ফেলেছে সে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও ক্ষয় করবে। তবে যতক্ষণ না তার শক্তি সম্পূর্ণ ক্ষয় হচ্ছে, ততক্ষণ পশ্চিমবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প থাকবে। আবার রাঁচি যেহেতু এ রাজ্যের সব চেয়ে কাছে সেজন্য ইয়াসের প্রভাব বায়ুমণ্ডলে রয়েছে।
সেকারণে রাজ্যের একাধিক জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ায় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকায় রাজ্যের পূর্ব দিকে প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকার কারণে স্থানীয়ভাবে বজ্রপাত বা মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে। বীরভূম থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনার প্রত্যেকটি জেলায় হাওয়ার প্রভাব থাকার জন্য রাজ্যের পূর্ব দিকের জেলাগুলো যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, সেজন্য এ রাজ্যে শীঘ্রই বর্ষাকাল আসার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তবে এখনও সমুদ্র উপকূলে সেইভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি। মনে করা হচ্ছে যে, শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ আসতে আসতে কমবে।