সকাল থেকে তেমন বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। বিকেলের দিক থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুরু হবে বৃষ্টি। সন্ধ্যায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, তার জেরে কমপক্ষে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। সবথেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের তিন জেলা অর্থাৎ দুই পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। আগামিকাল (বুধবার) বৃষ্টির তীব্রতা সবথেকে বেশি থাকবে। পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে ৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির পাশাপাশি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আজ সন্ধ্যায় থেকে আগামিকাল বিকেল পর্যন্ত হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় ঝড়ের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে (দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর) হাওয়ার বেগ আরও বেশি থাকবে। সেখানে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। সেজন্য ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে যাবে। তার জেরে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পরে তা আরও পশ্চিমে অর্থাৎ ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যাবে। সেখানেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আর সেখানেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারণ প্রবল বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর আরও বাড়বে। ফলে প্লাবিত হতে পারে উপকূলবর্তী জেলার নীচু এলাকাগুলি।