আজ, বুধবার গুরুপূর্ণিমা। সঙ্গে ভরা বর্ষার মরসুম। এই পরিস্থিতিতে দিঘা–শঙ্করপুর–তাজপুরে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিল। পূর্ণিমার কোটালের টানে জলোচ্ছ্বাসে দিঘাতে গাড়োয়াল টোপকে জল মেরিন ড্রাইভে ঢুকে পড়ল। পূর্ণিমার কোটালেই উত্তাল হয়েছে সমুদ্র বলে মনে করা হচ্ছে। তাই পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাদ গুণছেন এলাকাবাসী।
ঠিক কী ঘটেছে সৈকতনগরীতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের শঙ্করপুর, দিঘা, তাজপুর, উদয়পুরে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। ১০ থেকে ১৫ ফিট উচ্চতার ঢেউ গাড়োয়াল টপকে ঢুকে পড়েছে। রাস্তার উপর জল জমেছে। পর্যটকেরা জলোচ্ছ্বাসের আনন্দে মেতে উঠেছে। কিন্তু ফুঁসছে সমুদ্র। জলের তোড়ে ভাসছে তাজপুর যাওয়ার রাস্তা, মেরিন ড্রাইভ। রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছে প্রবল বেগে। জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামেও।
ঠিক কী জানিয়েছেন মন্ত্রী? এই পরিস্থিতি দেখে গ্রামবাসীদের উদ্দেশে মত্স্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘একটি পয়েন্ট দিয়ে জল ঢুকছে গ্রামে। সেচ দফতরকে বলা হয়েছে ব্যবস্থা নিতে। তেমন পরিস্থিতি হলে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত আছে।’ এদিকে জ্যামরা, শ্যামপুর, তাজপুর, শংকরপুরের বেশ কিছু গ্রাম্য এলাকায় জল ঢুকেছে।
আবহাওয়া দপতর কী বলছে? অন্যদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার জেরে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে কিছুটা বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের সতর্কবার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা শুরু হয়েছে নামখানা ও মৌসুনি দ্বীপে। কাকদ্বীপ–নামখানা–ফ্রেজারগঞ্জ –পাথরপ্রতিমা থেকে ট্রলার মাছ ধরার জন্য যেগুলি গিয়েছে অবিলম্বে সেগুলিকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।