একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট জয় বিজেপির ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। আর তারপর থেকেই রাজ্য রাজনৈতিক পালা বদলের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে–পরে আসানসোলে কখনই সে অর্থে বড় থাবা বসাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বরং আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি।
এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমুল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রভাবশালী বিজেপি নেতারা। বিজেপির আসানসোল মণ্ডলের নেতা মদনমোহন চৌবে, ইনটেকলেকচুয়াল সেলের আহ্বায়ক চিকিৎসক দেবাশীষ সরকার–সহ প্রায় তিন হাজার বিজেপি নেতা কর্মী রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আসানসোল রবীন্দ্রভবনে হয় যোগদান পর্ব। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে বিজেপি নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। দল ত্যাগ করা বিজেপি নেতারা জানান, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে বিজেপি দলটি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েও লাভ হয়নি। পাশাপাশি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের উপর ক্ষোভ দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বিজেপি নেতারা।
কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। যার জেরে বিজেপির সংগঠনে বড় ধাক্কা লেগেছে। তাঁর হাত ধরে বিজেপির সংগঠনে বড় ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। এবার আসানসোলের জেলা সম্পাদক সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় বাবুল সুপ্রিয়র সংসদীয় এলাকায় বিরাট ক্ষতির মুখে পড়ল গেরুয়া শিবির।
কিন্তু কেন দলবদল? মন ভেঙে যাওয়ার কথা বলেছেন মদনমোহন। ২০১১ সালে আসানসোল উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন মদনমোহন। কিন্তু তখন হারের পর আর টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁকে। তাঁর মতে, এমন সব ব্যক্তিদের টিকিট দিয়েছিল দল, তার বদলে দলের এক কর্মী দাঁড়ালে অনেক ভালো ফল হত। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘ভাবতে পারিনি নিজের দল তার আদর্শ থেকে সরে যাবে এবং দুর্নীতি করবে। দল করার মানসিকতা আর নেই।’