কৃষকের যেন চিন্তার শেষ নেই। এবার চিন্তা হাতিকে নিয়ে। এখন ধান তোলা ও আলু চাষের মরসুম। এখন এই হাতির আগমনকে ঘিরে রাতের ঘুম উড়েছে কৃষকের। চাষের ক্ষেতে নেমে পড়লে যে একেবারে লন্ডভন্ড অবস্থা তৈরি হবে তা ভালোই বুঝছেন কৃষকরা। আর বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এলাকায় সেই হাতির দলকে বাঁধা দিয়েছিলেন কৃষকদের অনেকেই। না হলে হাতি জমিতে নেমে পড়ত। আর তারপরই একাধিক রুটে ভাগ হয়ে গিয়েছে হাতির দল।
বনদফতর সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার রাত দামোদর নদ পেরিয়ে পূর্ব বর্ধমান থেকে বাঁকুড়ায় গিয়েছে হাতির দল। সেই দলে মোট হাতির সংখ্য়া ছিল ৫৬টি। এই পর্যন্ত একরকম ছিল। তবে বাঁকুড়ায় ঢোকার পরেই তিন ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে ওই হাতিরা। একেবারে ত্রিমুখী হানা। সোনামুখী হয়ে বেলিয়াতোড় রেঞ্জের লাদুনিয়ার জঙ্গলে গিয়েছে একটি দল। সেই দলে রয়েছে ৪০টি হাতি। বাকি ১৫টি হাতি সোনামুখী রেঞ্জের ভুলাপাথরার জঙ্গলে গিয়েছে। একটি হাতি কার্যত দলছুট হয়ে সোনামুখী রেঞ্জের তেঁতুলবাঁধ জঙ্গলে ডেরা নিয়েছে।
এদিকে এখন হাতিগুলিকে পশ্চিমমেদিনীপুরে ফিরিয়ে দেওয়াটাই বনদফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যেই বনদফতর হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখছে। একদিকে ফসলের ক্ষতি আটকানো ও অন্যদিকে হাতির যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে বনদফতর। বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই বলেন, আলুর চাষ পুরোদমে শুরু হওয়ার আগেই ৫৬টি হাতিকেই বের করতে চাইছি। কিন্তু তিনটি দলে ভাগ হয়ে গিয়েই সমস্যা হয়েছে।