ডুয়ার্সের রেতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একের পর এক চা বাগান পেরিয়ে মরাঘাট জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল হাতির দল। রাতভর হেঁটে এভাবেই করিডর ধরে এক জঙ্গল থেকে অপর জঙ্গলে চলে যায় হাতির দল। কিন্তু গন্তব্য পৌঁছানোর আগেই মাঝপথেই ভোরের আলো ফুটে যায় মঙ্গলবার। এদিকে বাধ্য হয়েই রাস্তার পাশে হালকা জঙ্গলে আশ্রয় নেয় হাতির দল। তবে শুধু হালকা জঙ্গলেই নয়, একেবারে জাতীয় সড়কেও উঠে আসে কয়েকটি হাতি। কাছেই বানারহাট হিন্দি কলেজ। সেই কলেজের কাছেও ১৫-২০টি হাতি চলে আসে। এদিকে লোকালয়ের কাছেই হাতি দেখতে পেয়ে এলাকায় ভিড় জমে যায়। অনেকেই হাতির ছবি মোবাইলবন্দি করতে থাকেন। পাশাপাশি দূরত্ব বজায় রেখেই হাতির সঙ্গে সেলফি তোলারও চেষ্টা করেন কয়েকজন। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে হাতির দলকে ঘিরে বানারহাটে একেবারে হইচই পড়ে যায়। বিন্নাগুড়ি ও বানারহাটের মাঝে এয়ারফিল্ড এলাকাতেও হাতির দল জড়ো হয়।
বনদফতরের লোকজনও সকাল থেকে হাতির দলের গতিবিধির উপর নজর রাখতে থাকে। লোকালয়ে ঢুকে যাতে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারে সেব্যাপারেও নজর রাখে বনদফতর। বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের তৎপরতায় ধীরে ধীরে হাতিগুলিকে জঙ্গলের দিকে ফেরৎ পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। এদিকে হাতি দেখতে কৌতুহলী মানুষের ভিড় সামলাতে এলাকায় পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়।