টোল আদায়ের নামে বেআইনি তোলাবাজি চালাচ্ছিল পুরসভা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে তা বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি দুর্গাপুর পুরনিগমের। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুরসভা ও জেলা পরিষদের নামে যে টোল আদায় করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যদিও দুর্গাপুর পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ফের টোল আদায় শুরু হবে।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও জেলা পরিষদের তরফে বিভিন্ন রাস্তায় টোল আদায় করা হচ্ছে। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক গাড়িগুলি থেকেই টোল আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। তেমনই দুর্গাপুর পুরনিগম এলাকায় ৭টি জায়গায় বছরের পর বছর টোল আদায় চলছিল। বছরে এই টোল প্লাজাগুলি থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা আয় হয় পুরসভার। এই টাকায় পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া ছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হয় বলে দাবি।
কিন্তু শুধুমাত্র বাণিজ্যিক গাড়ি যে ভাবে টোল আদায় করা হচ্ছে তাকে বেআইনি বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগীদের সংগঠন। তাদের দাবি, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই টাকা আদায় করা হচ্ছে। যে টাকার কোনও হিসাবও কাউকে দেয় না পুরসভা। সেই মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া টোল আদায় করা যায় না। ফলে দুর্গাপুরের ৭টি টোলই বন্ধ করতে হবে।
দুর্গাপুর পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসকের দাবি, আদালতের নির্দেশের পর টোল সংগ্রহ কেন্দ্রগুলিতে নোটিশ দিয়ে আপাতত টোল সংগ্রহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে অনুমতি নিয়ে তবে টোল চালু করা হবে। সেজন্য মাস তিনেক সময় লাগবে।
দুর্গাপুর শহরেরহ্যানিমেন সরণি, কাঞ্জিলাল সরণি, নাসের এভিনিউ , পিসিবিএল রোড, নাচন রোড, বনফুল সরণি ও শ্যামপুর মোড়ে সাতটি টোল প্লাজার কোনওটিতেই পুরসভার লাগানো নোটিশ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।