ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যত এগিয়ে আসছে, ততই আতঙ্ক বাড়ছে সুন্দরবনবাসীদের মধ্যে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সুন্দরবন, কাকদ্বীপের মতো উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ২৩ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা। এই আবহে দশ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে বকখালি, সাগর, কাকদ্বীপে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। নজরদারি চালানো হচ্ছে সুন্দরবনের নিচু এলাকাগুলিতে। এদিকে পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবনের নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। কন্ট্রোল রুম খুলে নজরদারি চলছে। গত কয়েকদিনে একাধিকবার বৈঠক করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় তৎপর দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর, দক্ষিণবঙ্গে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। আগামিকাল উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিমিতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যা পরবর্তীতে বেড়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বা ৯০ কিমিতেও পৌঁছাতে পারে। এদিকে ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামিকাল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমিতে ঠেকতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৫০ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।