আসন্ন জামাইষষ্ঠীতে বাঙালির প্রিয় হিমসাগর আমের অভাব দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমচাষিরা। এবার কালনা সহ সারা বাংলায় আমের ফলন এমনিতেই কম। তার উপর ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে অনেক চাষি আগেভাগেই গাছ থেকে আম পেড়ে নিয়েছেন, ফলে বাজারে হিমসাগরের অভাব হতে পারে।
কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী-২, পূর্বস্থলী-১, এবং কালনা-২ ব্লকে বিঘের পর বিঘে জমি জুড়ে রয়েছে আমের বাগান। পূর্বস্থলী-২ ব্লকে সবথেকে বেশি আমবাগান রয়েছে, যেখানে প্রচুর মানুষ আমচাষের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার হিমসাগর ও অন্যান্য প্রজাতির আমের সুনাম রয়েছে এবং রাজ্য আম উৎসবে পুরস্কারও পেয়েছে।
আরও পড়ুন। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পাওয়া মাংস ও চুল সাংসদের? ডিএনএ টেস্টে কলকাতায় আসছেন মেয়ে
স্থানীয় এক আমচাষি সংবাদমাধ্যমকে বলেন , ‘এবার এক হাজার গাছ লিজে নিয়েছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ গাছেই আম না-হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছি। বর্তমানে হিমসাগরের পাইকারি দর ৬০ টাকার মতো হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। পরে আরও ভালো দর মেলার সম্ভাবনা থাকলেও রেমালে ক্ষতির আশঙ্কায় সব আম পেড়ে নিয়েছি।’
পূর্বস্থলীর আর এক আমচাষির মতে, ‘জামাইষষ্ঠীর সময়ে আমের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু আমাদের এলাকায় গাছে আর তেমন আম নেই। তাই জোগানের অভাবে আমের দাম আরও চড়তে পারে।’
আরও পড়ুন। মুর্শিদাবাদে হাসপাতালের মধ্যেই শিয়ালের হানা, কামড় খেয়ে জখম রোগী সহ ১০ জন
পূর্ব বর্ধমান জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সুদীপ কুমার ভকত বলেন, ‘জেলায় এবার আমের ফলন বেশ কম। হিমসাগর একদমই কম হয়েছে। তবে বৃষ্টি যা হয়েছে তাতে আমের ক্ষতি তেমন কিছু হয়নি।’
চাষিদের মতে রেমাল না হলে দাম কিছুটা কমার সম্ভবনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় চাষিরা আম আগেভাগে পেড়ে নেওয়ার ফলে জামাইষষ্ঠীতে যোগান দেওয়া ভার হবে চাষিদের কাছে।
বাজারে বর্তমানে হিমসাগর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জামাইষষ্ঠীর সময়ে দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আমচাষিরা। তাই এবারের জামাইষষ্ঠীতে হিমসাগর আম জামাইয়ের পাতে তুলে চড়া দাম দিতে হবে শ্বশুর-শাশুড়িকে।
আরও পড়ুন। রেমালে উপড়েছে ৩০০-র বেশি গাছ, ক্ষতিপূরণে ১৫০০ বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা KMC-র