সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে আইআইটি খড়গপুরে। যার মধ্যে রয়েছে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়জান আহমেদ। তাঁর মৃত্যুতে খুনের তথ্য সামনে এসেছে। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারির পদত্যাগের দাবি জানালেন রেল শহরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর তদন্তকে প্রভাবিত করছেন। তুঘলকি শাসন চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: লোকসভায় ঘাটাল সহ ৪ আসনের ফল নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি, CBI তদন্ত চেয়ে আদালতে যাবে BJP
২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়গপুরের হস্টেল থেকে ফয়জানের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় প্রথম থেকেই খুনের দাবি জানিয়ে আসছিল পরিবার। কিন্তু, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ দাবি করেছিল, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। পরে কলকাতা হাইকোর্ট ফয়জানের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে জানা যায়, ফয়জানকে খুন করা হয়েছে। তারপরই আবার খবরে উঠে আসে খড়গপুর। যদিও ফয়জানের পরেও আরও বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে আইটি খড়গপুরে।
গত ১৭ জুন হস্টেলের বাইরের ছাদের কার্নিশ থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়াও আরও এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেখানে বারবার ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পড়ুয়াদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন রেল শহরের বিধায়ক। হিরণের অভিযোগ, আইআইটির ডিরেক্টর তদন্তকে প্রভাবিত করছেন। তুঘলকি শাসন চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছেও আইআইটি ডিরেক্টরকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগেই হিরণের সঙ্গে আইআইটি কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব সামনে আসে। হিরণ মনোনয়নের সময় নিজেকে খড়গপুর আইআইটি থেকে রিসার্চ স্কলার বলে দাবি করেছিলেন। পরে তথ্য জানার অধিকারের আবেদনে আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল হিরণ কোনওভাবেই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আর এবার সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই সরব হলেন হিরণ। তাঁর দাবি, খড়গপুর আইআইটি গোটা দেশের সম্পদ। এভাবে অপশাসন চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম খর্ব হচ্ছে।