বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > দশ মাথা কালীপুজো হয় মালদহে, ব্রিটিশ আমল থেকে হচ্ছে পুজো, নেপথ্যে কী?

দশ মাথা কালীপুজো হয় মালদহে, ব্রিটিশ আমল থেকে হচ্ছে পুজো, নেপথ্যে কী?

ঐতিহাসিক কালীপুজো

১৯৩০ সাল, দেশে তখন শাসন করছে ইংরেজরা। মালদহে চরম অত্যাচার চালিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।

রাত পোহালেই কালীপুজো। তাই নানা ঐতিহাসিক কালীপুজো নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে মালদহ জেলার ঐতিহাসিক কালীপুজো আলোচনায় উঠে এসেছে। কারণ এখানে প্রথা মেনে দিনের আলোয় পূজিতা হন দশ মাথা কালী। যা মহাকালী নামে পরিচিত। এখানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলি প্রথা এবং শোল মাছের টক বিশেষ প্রসাদ। ১৯৩০ সাল, দেশে তখন শাসন করছে ইংরেজরা। মালদহে চরম অত্যাচার চালিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।

ব্রিটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষজন বিদ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন নিজেদের মধ্যে শক্তি আর সাহস বৃদ্ধি করতে শুরু হয় কালীপুজো। যা আজও চলছে। শক্তির আরাধনায় শুরু হয় দশ মাথা মহাকালীর পুজো। তবে এখন পুড়াটুলি থেকে পুজোর স্থান পরিবর্তন হয়ে এসেছে ইংরেজবাজার শহরের গঙ্গাবাগে। সারা জেলায় এই পুজো ১০ মাথার কালীপুজো নামে পরিচিত। চতুর্দশীর দিন ধুমধাম করে পূজিতা হন এই দেবী। এবারও তা হয়েছে।

কেমন হয় কালী মূর্তি?‌ জানা গিয়েছে, কালীমূর্তিতে এখানে কিছুটা বিশেষ অর্থ রয়েছে। দেবীর ১০ মাথা, ১০ হাত ও ১০ পা রয়েছে। প্রতিমায় শিবের কোন অস্তিত্ব নেই। দেবীর পায়ের তলায় রয়েছে অসুরের কাটা মুণ্ডু। প্রত্যেক হাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, শ্রী শ্রী চণ্ডী গ্রন্থের বৈকৃতিক রহস্য এই মূর্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। বিহারের বিন্দুবাসিনীতে পাহাড়ের গায়ে ও প্রাচীন যুগে খোদাই করা রয়েছে এই মূর্তি। গঙ্গাবাগ এলাকায় মায়ের মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে ১৯৮৫ সালে।

মায়ের মন্দির নির্মাণ নিয়ে এলাকায় রয়েছে অনেক কাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যেখানে মহাকালীর মন্দির রয়েছে, সেখানে তন্ত্র সাধনা করতেন এলাকার বাসিন্দা প্রফুল্লধন মুখোপাধ্যায়। সাধনার জন্য তৈরি করে পঞ্চমুণ্ডির আসন। সেই আসনের ওপরে দেবীর বেদি নির্মিত হয়েছে। প্রফুল্লবাবুর মৃত্যুর পর তার বংশধর ও স্থানীয় মানুষজন এই পুজো চালিয়ে আসছেন। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্বে রয়েছে ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতি।

এখানে পুজোর রীতি কী?‌ জানা গিয়েছে, প্রথম থেকেই এই পুজো অমাবস্যার পরিবর্তে চতুর্দশী তিথিতে অনুষ্ঠান ও পুজো হয়ে আসছে। পাঠা বলি দিয়ে রক্ত উৎসর্গের মাধ্যমে পুজো শুরু হয়। বলির শেষে শোল মাছের টক রান্না করে দেওয়া হয় কালীমাকে। চতুর্দশীর সকালে মৃৎশিল্পীর ঘর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে মন্দির পর্যন্ত মাকে নিয়ে যাওয়া হয় শোভাযাত্রা সহকারে। শোভযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের বাদ্য বাজনার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি পাঁচদিন ধরে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেষের দিন নরনারায়ণ সেবা।

বাংলার মুখ খবর

Latest News

ঠাকুরদা ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি, দাদু সেনার ব্রিগেডিয়ার, আর মুখতার হয়েছিলেন 'ডন' মেয়েকে ২৫০কোটির বাংলো উপহার রণবীর-আলিয়ার, রাহা-ই বলিপাড়ার সবথেকে ধনী ‘স্টার কিড বহুবিবাহ আইনে ২য় স্ত্রী ও তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে মামলা নয়: কর্ণাটক হাইকোর্ট 'নমো অ্যাপে একটা সেলফি তুলুন', হালকা চালে AI থেকে UPI নিয়ে আলোচনা মোদী-গেটসের ১৮ বছরে পা রাখল হৃতিকের বড় ছেলে, বিশেষ পার্টির আয়োজনে কী কী করলেন সুজান-সাবা সতীশ কৌশিক আর নেই, মুক্তি পেল 'পাটনা শুক্লা', বন্ধুকে নিয়ে আবেগতাড়িত সলমন মোদী নাকি মমতা, কে বড় 'একনায়ক'? বাউন্সারের সামনে পড়ে যা বললেন PK RCB vs KKR: আউট হওয়ার ভয়ে কুঁকড়ে থাকতেন, গতবারের ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে অকপট রাসেল 'এটা করা যায় না… ৬ মাসে…', এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের পক্ষে বড় রায় আদালতের মীন রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ২৯ মার্চের রাশিফল

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.