অত্যন্ত উদ্বেগের ঘটনা কল্যাণীতে। কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালের পিপিপি মডেলে গড়ে ওঠা ডায়ালিসিস সেন্টারে ডায়ালিসিস করাতে গিয়েছিলেন ৫জন। সেখানে গিয়েই তাঁরা এইচআইভি সংক্রামিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই তারা সংক্রামিত হয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। কিন্তু কীভাবে তারা সংক্রামিত হলেন?
এনিয়ে রোগীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে ওখানে স্বাস্থ্য বিধি একেবারেই মানা হচ্ছিল না। একই সিরিঞ্জ একাধিক রোগীর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ডায়ালিসিস যন্ত্রের পরিশোধনের ক্ষেত্রেও যথাযথ করা হচ্ছে না। যার জেরে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। এমনকী যে সমস্ত যন্ত্রপাতি এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে তা যথাযথভাবে পরিশোধন করা হচ্ছে না। যার মাসুল গুনতে হচ্ছে রোগীদের। এমনটাই অভিযোগ।
একটি টিভি মিডিয়ার তরফ থেকে এনিয়ে অন্তর্তদন্ত করা হয়েছিল। আর সেই তথ্য় অনুসন্ধানের পরে বিস্ফোরক নানা তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। এদিকে ডায়ালিসিস করাতে গিয়েই যে তাঁরা এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনিয়ে অবশ্য অনেকেই সন্দিহান। কারণ অন্য় জায়গা থেকেও তাঁরা এইচআইভিতে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। স্বাস্থ্য ভবনের পিপিপি সেলে তাঁরা কথা বলবেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। তবে সাধারণ রোগীদের এনিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন তারা। তাছাড়া এইচআইভি রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে আক্রান্ত রোগীরা অবশ্য় অন্য় কথা বলছেন। সংবাদমাধ্যমে তারা জানিয়েছেন. ২০১৬-১৭ সাল থেকে এই সেন্টারেই তারা যাতায়াত করেন। সেখানেই তারা ডায়ালিসিস করান। তাদের মধ্যে কারোর বয়স ৫০, কারোর বয়স ৫৪ বছর। তিন মাস অন্তর তাদের সেরোলজির পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার আগে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ দেখাচ্ছে। এদিকে তাদের অন্য কোথাও থেকে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।
তবে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। ডায়ালিসিস করতে গিয়েই যে তারা এইচআইভিতে সংক্রামিত হয়েছেন একথা প্রমাণ করা বেশ কঠিন। আবার ডায়ালিসিস সেন্টারে কেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা হত না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোর একেবারে তুঙ্গে। কবে এনিয়ে সতর্ক হবে এই ধরনের সেন্টার তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।