এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার কারণে বারাসতের একটি স্কুলের শিক্ষককে ৯০ দিনের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপরেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। বিষয়টি জানতে পেরে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য সরকার। বিদ্যালয়ের কর্মী, অভিভাবকদের নিয়ে একটি কর্মশালের আয়োজন করা হয়। তারপরেই নিজেদের ভুল স্বীকার করে পুনরায় শিক্ষকতার কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ওই শিক্ষককে ডেকে পাঠাল স্কুল। কিন্তু, কাজে যোগ দেবেন কি না, তা ভাবনা চিন্তা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষক ।
মঙ্গলবার নব মহাকরণ বিল্ডিংয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেই কর্মশালায় স্কুলের কর্ণধার রঞ্জিত মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘ওই শিক্ষক আমাদের স্কুল পরিবারের একজন সদস্য। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এইচআইভি নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা রয়েছে। সে ভুল ধারণা দূর করার জন্য একটা সময় প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে আমরা ওকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলাম। এটা হয়তো ওকে আঘাত করেছে। তবে আমরা মোটেই তাঁকে আঘাত করতে চাইনি। তাঁকে ফিরে পেলে আমরা খুশি হব। তিনি বুধবার থেকে আবার ক্লাস শুরু করতে পারবেন।’
রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিক বিপ্লব রায় মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁর অফিসে এই নিয়ে এইচআইভি-পজিটিভ শিক্ষক এবং স্কুলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বিপ্লব রায় বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টির উপর নজর রাখব। শিক্ষকের অধিকার যাতে খর্ব করা না হয় এবং তিনি যাতে শান্তিতে কাজ করতে পারেন তা নিশ্চিত করব।’ যদিও ওই শিক্ষক স্কুলে আবার কাজে যোগ দেবেন কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানাননি। তিনি বলেন, ‘স্কুল আমার সঙ্গে যা আচরণ করেছে তাতে আমি অপমানিত এবং আহত হয়েছি। তবে তাঁরা তাদের ভুলের কথা স্বীকার করেছেন এবং আমাকে কাজে যোগ দিতে বলেছে। কিন্তু, আমি সেখানে কাজ করব কিনা তা এখনও ঠিক করিনি।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় এইচআইভি আক্রান্ত পাত্রীর সঙ্গে। এরপরেই সংবাদ মাধ্যমে তাঁর এইচআইভি হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে তিনি স্কুলে যোগ দিতেই তলব করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে জানানো হয়েছে, ৯০ দিনের জন্য তাঁকে ছুটিতে যেতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার মতো ঘটনা স্কুলকে লুকিয়ে ওই ব্যক্তি কর্মরত ছিলেন। তারপরেই সমালোচনার ঢেউ ওঠে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup