সরকারি প্রকল্পের অধীনে খাওয়া মিলত এইচআইভি আক্রান্ত দম্পতির। কিন্তু ভোট গণনার পর থেকে আর তাঁদের খাওয়া মিলছে না। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে মিলছে না খাওয়া বলে অভিযোগ তাঁদের। কারণ, তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেননি। তাই এই নির্দেশ। হওড়ার শ্যামপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হাওড়া জেলার শ্যামপুরের বাসিন্দা ওই দম্পতি কর্মসূত্রে মুম্বই থাকতেন। ২০১২ সালে সেখানে থাকাকালীন তাঁরা এইচআইভি আক্রান্ত হন। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছিল। তার পর ২০১৬ সালে মুম্বই থেকে শ্যামপুর ফিরে আসেন। কিন্তু কাজ না থাকায় তাঁরা কার্যত অসহায় হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় এইচআইভি আক্রান্তদের সরকারি সাহায্য প্রকল্প ‘সহায়’ থেকে ওই দম্পতিকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তার পর থেকে তাঁরা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাবার পেতেন।
(পড়তে পারেন। মিড ডে মিলে ‘নুন ভাত’, সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষিকা আদালতের দ্বারস্থ, রিপোর্ট তলব)
কিন্তু পঞ্চায়তে নির্বাচন ফলপ্রকাশের পরই তাঁদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেননি, এই দাবি তুলে তাঁদের খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে খাবার বন্ধ করে দেয় অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল। এইজন্য স্কুলের শিক্ষিকাদের চাপ দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে।।
ওই দম্পতি বলেন, 'আমার এতদিন মুম্বই থাকতাম। এখানে এসে বিডিও-র মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের খাবার পেতাম। এইবার পঞ্চায়েত ভোটে আমি তৃণমূলকে ভোট দিইনি। সেটা জানতে পারে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমার বাড়িতে এসে বলেন তুমি দলকে ভোট দাওনি। তোমার ভাত বন্ধ।'
যদি ওই অভিযোগ মানতে নারাজ শ্যামপুকুর ২২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা জুলফিকার আলি মোল্লা। তিনি বলেন, 'অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যদি এমন কোনও অভিযোগ করা হয় তবে তা খতিয়ে দেখা হবে।' তাঁর দাবি ওই দম্পতি আবার আগের মতো খাবার পাবেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি আবার খাবর পাচ্ছেন।