লকডাউনে গত বছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ সমস্ত স্কুল। মাঝে কয়েকদিনের জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য হাই স্কুলগুলি খুললেও ফের তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও বন্ধ স্কুলে তৈরি হয়েছে সেফ হোম, কোথাও ত্রাণশিবির। কোথাও আবার নির্বাচনের সময় ঘাঁটি গেড়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু সেইরকম স্কুলের সংখ্যাও হাতে গোনা। আর সেই সুযোগে আস্ত স্কুল ভাড়া দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
ঘটনা মালদা জেলার মানিকচকের সাহেবরামটোলার। সাহেবরামটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাস কয়েক আগে স্থানীয় লালমোহন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে স্কুলবাড়ি ভাড়া দিয়ে দেন তিনি। মাসিক চুক্তিতে বাড়ি ভাড়া দেন ওই ব্যক্তিকে। তার পর সপরিবারে গবাদী পশু নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। স্কুলবাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন লালমোহনবাবুর স্ত্রী রিংকুদেবী।
ওদিকে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, থাকতে দিয়েছি একথা ঠিক। তবে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। লালমোহনবাবুর বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। তিনি থাকার জন্য ঘর খুঁজছিলেন। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেন। স্কুল বন্ধ দেখে আমি তাঁদের একটি ঘরে অস্থায়ী ভাবে থাকার অনুমতি দিই। কিন্তু তার জন্য অর্থের লেনদেনের অভিযোগ ঠিক নয়।
জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, তদন্ত হবে।