পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল গত বছর থেকেই। ২০২৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ফেলে দেওয়া ফুল থেকে ভেষজ আবির তৈরি করেছিল পুরসভা। আর এবার বাণিজ্যিকভাবে এক টন ভেষজ আবির তৈরি করে ফেলল উত্তর দমদম পুরসভা। এই আবির বিক্রির জন্য চারটি জায়গায় স্টল করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার দোল। তার আগে মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পুরসভার তৈরি ভেষজ আবির বিক্রির জন্য ৪টি স্টলের উদ্বোধন করেছেন। আজ বুধবার থেকে সেখানে বিক্রি শুরু হবে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সেনাপ্রধানের পদ নিয়ে জল্পনার মাঝেই বড়সড় বদলের নির্দেশ ইউনুসের)
আরও পড়ুন : দোলের মরশুমে নির্ভেজাল আবির তৈরির উপায় বাতলে দিল যাদবপুর
আগে বাড়িতে পুজোর কাজে ব্যবহৃত ফুল ফেলে দেওয়া হতো। ওই পুর এলাকায় রাস্তার ধারে, খাল, জলাশয়ে পুজোর ফুল ফেলে দেওয়ার ছবি চোখে পড়ত। তবে সেই ছবি বদলাতে শুরু করে ২০২৪ সাল থেকে। ২০২৪ সাল থেকে ফুল, বেলপাতা থেকে ভেষজ আবির, ধুপ ও জৈব সার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। সেইমতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরসভার তরফে সেই ফুল সংগ্রহ করা হয়। এর জন্য মাঝেরহাটি এলাকায় একটি পৃথক শেড তৈরি করা হয়। বেসরকারি সংস্থার থেকেও আর্থিক সহযোগিতা নেওয়া হয়। পরে নির্মল বাংলা প্রকল্পে সেই ফুল দিয়ে আবির তৈরির কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত পুরসভার খরচ হয়েছিল ৬০ লক্ষ টাকা। (আরও পড়ুন: 'মেয়েদের দুটো জায়গার চুল ছাড়া অন্য জায়গার চুল কাটা হারাম')
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ‘আজাদ কাশ্মীর’ গ্রাফিতি বিতর্কে নাম জড়িয়েছে PDSF-এর, কে তারা?
আরও পড়ুন: 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ব্যানার্জি...', ভাইরাল ওড়িয়া গানের প্যারোডি মমতাকে নিয়ে
জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২০ জন মহিলাকে দিয়ে এই কাজ করানো হয়। গত বছর ২০ কেজি মতো ভেষজ আবির তৈরি করা হয়েছিল। তবে সেটা ছিল পরীক্ষামূলকভাবে। তাতে সাফল্য আসার পর এ বছর ১ টন ভেষজ আবির তৈরি করেছে উত্তর দমদম পুরসভা। জানা গিয়েছে, যে চারটি স্টল তৈরি করা হয়েছে সেগুলি উত্তর দমদম পুরসভার পাঠানপুর, বিশরপাড়া ও ২৩৭ বাস স্ট্যান্ডের কাছে রয়েছে। এই স্টলগুলিতে আজ থেকে পুরসভার তৈরি ভেষজ আবির বিক্রি করা হবে। এর জন্য প্রতি কেজিতে ৩৫০ টাকা দাম ধার্য করা হয়েছে। তবে ছোট বড় প্যাকেটও থাকবে। এদিন উদ্বোধনের সময় পুরসভার উদ্যোগের প্রশংসা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ভেষজ আবির তৈরি করে পুরসভা নতুন পথ দেখাল। এই প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন মন্ত্রী। পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, অন্যান্য সাধারণ আবিরের চেয়ে ভেষজ আবিরের গুণগতমান ভালো এবং ক্ষতিকারক নয়। তিনি আশা করছেন আগামী দিনে এই ধরনের আবিরের চাহিদা আরও বাড়বে।