এই তো কয়েকদিন আগের ঘটনা। করোনা রুখতে কড়া বিধি লাগু করে রাজ্য সরকার। আর তার আগেই দেখা যায় মদের দোকানের সামনে সুরাপ্রেমীদের লম্বা লাইন। সেই লাইন দেখে সোশ্য়াল মিডিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ বিধায়ক মদন মিত্র। মদের কালোবাজারি নিয়েও মুখ খুলেছিলেন তিনি। এবার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে মদের কালোবাজারির সেই অভিযোগ এক এক করে সামনে আসছে।
বর্ধমানের মেমারিতে কার্যত অবৈধপথে মদের রমরমা কারবার চলছিল বলে অভিযোগ। এককথায় মদের হোম ডেলিভারি। স্কুটিতে মদ চাপিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা। কার্যত লকডাউনের সুযোগে মোটা টাকার বিনিময়ে এভাবে মদ বেচাকেনার চক্র সক্রিয় হয়েছিল বলে অভিযোগ। এবার সেই সেই মদ সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।দুটি বাড়ি ও দুটি হোটেলেও হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে প্রচুর দেশি ও বিদেশি মদ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। কীভাবে চলত এই চক্র? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ফোনেই মদের অর্ডার নেওয়া হত। এরপর স্কুটিতে সুরাসম্ভার চাপিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া এবং সেটাও অতিরিক্ত দামের বিনিময়ে।
তবে শুধু হোম ডেলিভারিই নয়, মুদিখানার আড়ালে মদ বিক্রি হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই চক্রেরও পর্দাফাঁস করেছে রানিগঞ্জের পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের তারবাংলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি মুদিখানা দোকান থেকে প্রচুর দেশি ও বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।