কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভ্রাতৃবধূকে মারধরের অভিযোগ এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। ঘটনা মালদার মানিকচকের। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত হোমগার্ড। আক্রান্ত বধূর স্বামীর দাবি, এর আগেও স্ত্রীকে মারধর করেছেন দাদা। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত হোমগার্ড সামসি ফাঁড়িতে কর্মরত। নির্যাতিতার স্বামী পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। স্বামী বাড়িতে না থাকলেই ভ্রাতৃবধূকে ওই হোমগার্ড কুপ্রস্তাব দিতেন বলে অভিযোগ। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে দরজা ভেঙে বধূর ঘরে ঢুকে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন তিনি। বধূ তাতে রাজি না হলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘরেও ভাঙচুর চালান। বধূর চিৎকারে স্থানীয়রা চলে এসে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত।
খবর পেয়ে ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফেরেন বধূর স্বামী। তিনি বলেন, আমার দাদার স্বভাব খারাপ। আমার বউকে ও বার বার ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর আগেও ও এই কাজ করেছে। আমার স্ত্রীকে ও মারধর করেছে। মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মেরেছে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে আমার স্ত্রীকে ও বেধড়ক মারধর করেছে। আমার ঘরে ভাঙচুর করেছে। তার পর ঘরে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আমি মানিকচক থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ও হোমগার্ড বলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।
এই ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। ওদিকে চাপের মুখে অবশেষে অভিযোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে তারা।